কঠোর লকডাউনকে কেন্দ্র করে ঈদের মতো বাড়ি ফিরছে মানুষ। আর সেই প্রভাব পড়েছে সবখানেই। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় শতশত যানবাহন। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট থেকে শুরু করে গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত ট্রাকের দীর্ঘ সারি। নদী পারাপারের অপেক্ষায় কমপক্ষে ৫ শত ট্রাক। এমন পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহনের চালক ও সহকারীরা।
তবে যে কারণে এতো দুর্ভোগ সেই কারণটাই সবার মাঝে উপেক্ষিত। ট্রাকের প্রায় চালক-সহকারী কারও মাঝেই নেই কোন সচেতনতা। কারও মুখেই নেই মাস্ক। কারও কাছে আবার একেবারেই মাস্কই নেই। তবে অপেক্ষায় থাকা চালকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, কোন গণপরিবহন চলছে না তবুও কেন এতো ভোগান্তি।
দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে গোয়ালন্দ মোড়ে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা থেকে কল্যাণপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক পদ্মা পারাপারের অপেক্ষায় আটকে আছে।
খুলনা থেকে আসা ট্রাক চালক কুদ্দুস বলছেন, সোমবার ভোররাতে এখানে এসেছি। এখনো পারাপারের অপেক্ষায়। কখন পার হতে পারবো বুঝতে পারছি না। এখনতো ঈদ না কি কারণে এমন দুর্ভোগ।
দৌলতদিয়া কার্যালয়ের বিআইডব্লিউটিসি-এর মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ বলেন, রাত থেকে ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ কিছুটা বেড়েছে। বর্তমান দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। খুব দ্রুতই নদী পার হতে পারবে এসব ট্রাক বলে জানান এই কর্মকর্তা।